Friday, 27 February 2015

রুটি ও দুধ খেয়ে ১৫ বছর !

কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙ্গালী। কিন্তু বাঙ্গালী হয়েও জন্মের পর থেকে ১৫ বছরেও ভাত স্পর্শ করেনি রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের শফিউল আলমের পুত্র মোহাম্মদ মোস্তফা। সে এখন পোমরা উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। পাড়া-প্রতিবেশীদের কৌতূহলের অন্ত নেই তার এই ভাত না খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ।

তার অভিভাবকরা জানিয়েছেন, রুটি আর গরুর দুধ ছাড়া আর কোনো খাবার সে স্পর্শ করে না। ভাতকে সে কোনোভাবেই খাবার হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। পরিবার তার এই খাদ্যাভ্যাসকে স্বাভাবিক বলে মনে করছে না।
মোস্তফার মা জানান, তার ছেলের বয়স যখন এক বছর তখন থেকে ডাক্তারের পরামর্শে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার হিসেবে ভাত দেওয়া হলেই সে তা বমি করে ফেলে দিত। আর এভাবেই তাকে যতবারই ভাত কিংবা অন্য খাবার দেওয়া হয়েছে, ততবারই সে বমি করে ফেলে দিয়েছে।
এতে তার পরিবার ভয় পেয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অভয় দিয়ে বলেন, তার খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি, তবে ভাত খাওয়ার ব্যাপারে তার আগ্রহ না থাকার কারণে এমনটা হচ্ছে।
আর এ অবস্থায় মোস্তফাকে তার মা ও পরিবার-পরিজন রুটি আর দুধ ছাড়া আর কোনো কিছু খাওয়াতে পারেনি। বরং এই ব্যাপারে যতবার চেষ্টা করা হয়েছে ততবারই বিফল হয়েছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
মোস্তফাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, তার ভাত খেতে ভালো লাগে না। এতে তার একধরনের দুর্গন্ধ লাগে, যা সে সহ্য করতে পারে না। একই কারণে সে অন্য কোনো কিছুও খেতে পারে না।
মোস্তফা জানায়, প্রতিদিন সকালে সে সাত-আটটা রুটি ও দুধ, দুপুর বেলায় পাউরুটি-দুধ, বিকেলেও রুটি আবার রাতেও রুটি ও দুধ খেয়ে জীবনযাপন করে।


0 comments:

Post a Comment