H.S.C পরীক্ষা শেষে দিন
কাল ভাল যাচ্ছিলোনা মামুনের। হঠাৎ
১ বন্ধুর অনুেরাদে ১টি টিউশনি ধরল । যাদের বাড়িতে টিউশনি ধরল তারা ছিল খুব
সম্রান্ত পরিবারের । ধন সম্পদের দিকে কোন অংশে কম ছিলনা। মামুন সে বাড়ির ক্লাস ৪
ছাত্র অনিক আর ক্লাস ১০ ছাত্রী তনিমাকে পড়াত । তনিমা ছিল অপূর্ব সুন্দরী । যে চোখ
থাকে একবার দেখেছে সে কখনও তাকে ভুলতে পারবেনা। পড়ানোর ছলে তনিমার খুব ভাল লেগে
যাই মামুনকে। মামুনেরও ভাল লাগেনি তা কিন্থু নই।মামুন ভয়ে তা কখনও তা প্রকাশ করতে
পারেনি।
সময় সুযোগ বুঝে তনিমা একদিন তাঁর মনের কথা যানাই
মামুনকে।মামুন প্রথমে তনিমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।কিন্থু তনিমা নাছোড়
বান্দা। যে করে হোক সে মামুনকে চাই চাই। অবশেষে তনিমার প্রস্তাবে রাজি না হইয়ে
পারলনা মামুন। শুরু হল তাঁদের রোমাঞ্চকর প্রেমকাহিনি, পড়ার টেবিল দুজন দুজনের দিকে
থাকিয়ে তাকা, হাত থেকে কলম পরে যাবার ছলে হাতের একটু কোমল ছোঁয়া পাওয়া। এইভাবে
হরধম প্রকৃতিতে তাদের প্রেম ছলতে তাকে। অন্য দিকে তনিমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব
আস্তে শুরু করে । মাঝে মাঝে পাত্র পক্ষের লোকজন তাদের বাড়িতে দেখতে আসত । তনিমা
এইসব মামুনকে বলত।
মামুন মনে করত, মেয়ে থাকলে প্রস্তাবত আসবেই তাই
বলে কি বিয়ে হইয়ে যাবে এমন কোন কথা ক আছে? কিন্থু মামুনের ধারনাকে মিথ্যে
প্রতিপন্ন করে পরিস্তিতি গিয়ে ঠেকল অন্য দিকে। তনিমার এক আত্মীয় সম্বন্ধীয় লোকের
কাছে এক প্রবাসী তনিমার ছবি দেখে। তনিমার ছবি তাঁর দুই চোখের ঘুম হারাম করেদে।
একদিন লোভ সামলাতে না ফেরে প্রবাসী তনিমার ছবিটা পরোটার সাথে খেয়েফেলে। তারপর যেই
করে হক সে তনিমাকে চাই চাই এই কথা ব্যক্ত করে। তনিমার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাদের
বাড়িতে প্রস্তাব পাঠাই আর ও খুব তাড়াতাড়ি প্রবাস থেকে ফিরে আসার চেষ্টা চালাই ।
অল্প কয়েকদিনের মাঝে সে প্রবাস থেকে ফিরে আসে।
অন্য দিকে জরুরি কাজে চট্রগ্রাম এর বাইরে যেতে হয়। এই ফাকে প্রবাসী তনিমাদের
বাড়িতে এশে তনিমাকে দেখে যাই । তনিমার মা বাবাও প্রবাসীর ধন সম্পত দেখে রাজি হইয়ে
যাই । এই দিকে তনিমাও দিশেহারা হইয়ে পরে। তাঁর দুচোখের অশ্রু গড়িয়ে পরতে তাকে সে
প্রবাসীকে তাঁর সব কথা খুলে বলে কিন্থু প্রবাসী পাত্রটা ছিল নাছোড়বান্দা যত কিছু
হবে হোক সে তনিমাকে বিয়ে করই ছাড়বে । বিয়ের দিন তারিখ সব ঠিক করা হল। প্রবাসী
তনিমার সব কথা শুনে সে বিয়েটা তাড়াতাড়ি শেরে ফেলার জন্য উঠে পরে লাগে। । মামুন তাঁর
কাজ শেষ করে বাড়ি এসে এই সব কথা শুনে পাগলের মত তনিমাদের বাড়ি ছুটে যাই। তনিমা
মামুনকে দেখে তাঁর দু চোখের অশ্রু ছেড়ে দে । তাঁর পর তনিমা মামুনকে সব কথা খুলে
বলে । মামুন বাড়ি চলে যাই। মামুন তাঁর বাবাকে বলতে ভয় পাচ্ছিলো তাই তাঁর বড়
দুলাভাইকে বলল। কিন্থু মামুনের বড় ভাই আজও অবিবাহিত হওয়ার কারণে তাঁর দুলাভাই
মামুনের কথাই তেমন সাড়া দিলনা মামুনের কথাই । পরে মামুনের যন্ত্রণা দেখে তাঁর
দুলাভাই রাজি হয় ও মামুনের বাবাকে সব কথা খুলে বলে।
কিন্থু মামুনের বাবা তাঁর জামাইয়ের কথা কানে
নিলনা। অবশেষে মামুন নিজে তাঁর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তনিমাদের বাড়িতে যাই। তনিমার
বাবাকে সব কথা খোলে বলে। তনিমার বাবা এইসব কথা শুনে অনেক রেগে যাই আর মামুনকে অনেক
অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দে। শুধু তাই নই ২বার তনিমার বিয়েতে ঝামেলা পাকাতে
আসলে তাদের পরিবার সহ নিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুমকি দে তনিমার বাবা মামুনকে।
উল্লেখ্য তনিমার বাবা ছিল সমাজের একজন প্রবাবশালী নেতা। তাই মামুন ও তনিমার বাবার
কথার ওপর আর কিছু বলতে পারলনা । হতাশ হইয়ে বাড়ি ফিরে আসল মামুন।
এইদিকে তনিমা মামুনের সাথে দেখা করার জন্য অস্তির
হয়ে উঠে ।
অনেক কষ্টে গোপনে তারা দুজন দেখা করে । এর মাঝে
মামুন টিক করল পালিয়ে যাবার কথা । কিন্থু তনিমা এই সিদ্দান্ত মেনে নিতে পারলনা
কারন সে তাঁর মা বাবার মনে কষ্ট দিতে পারবেনা। মামুন যেহেতু তনিমাকে সত্যি ভালবাসত
তাই সেও চাইল তনিমাকে সুখি করতে। সে তনিমাকে বিয়েতে রাজি হতে বলে। আর মামুন ও
তনিমাকে জানিয়ে দে যে সে তাঁর বিয়েতে
আসবেনা । কিন্থু মামুন তনিমার বিয়েতে না আসলে সে বিয়ের পিড়িতে বসবেনা আর
আত্মহত্যার হুমকি দে। মামুন অবশেষে বিয়েতে আসতে রাজি হল। বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসল।
গাইয়ে হলুদের দিন মামুন তনিমাদের বাড়ি গেল কিন্থু বিয়ের অনুষ্ঠানের এই আয়োজন তাঁর
হৃদয়ে রক্ত হরণের শুরু করেদে। তাঁর হৃদয় ভেগে ছুঁড়ে কতবিক্ষত হইয়ে যাচ্ছিলো কিন্থু
সে হাসি মুখে সবার সাতে রাত ১২ ঠা পর্যন্ত মেতে ছিল এর পর সে বাড়ি ফিরে এল।
মামুন কোন মতে গুমাতে পারলনা তাই তাঁর টেনশন দূর
করার জন্য সিগারেট দরাল এক রাতে ৬০ ঠা সিগারেট কিভাবে শেষ করে দিল টা সে নিজেও
জানেনা। যে ছেলে কোন দিন সিগারেট খাইনি রাত জাগেনি সে ছেলে
প্রেমের কারণে টা করতে শুরু করল । তনিমার কথা
ভেবে বিয়ের দিন অপরাধীর মত হাজির হল বিয়েতে। স্টেজ সাজানোর দায়িত্বটা মামুনকে দেয়া
হল। মামুন নিজ হাতে তাঁর প্রিয়ার বিয়ের স্টেজ সাজিয়ে দিল আর আড়ালে গিয়ে কিছুক্ষণ
পর পর চোখের জল মুছতে তাকে।
বর যখন স্টেজ বসল তখন মামুন ভাবল আজ এই স্তানে
হইত সে বর সেজে বসত আর সে জাইগাই অন্য একজন বসে আছে আর তাঁর প্রিয়াকে তাঁর চোখের
সামনে নিয়ে যাবে। এই কথা গুলু ভাবতে তাঁর চার দিকটা কেমন জানি অন্ধকার হই আসল। অবশেষে
প্রিয়াকে তাঁর চোখের সামনে নিয়ে যাবার ছবি দেখে তার হৃদয়ে নদী ভাগণের চেয়ে বেশি
ভাগনের শুরু হল। এর পর থেকে মামুন সম্পূর্ণ অন্য রকম হইয়ে যাই এখন সে তনিমাকে টিক
আগের মত ভালবাসে। এই ঘটনার ৭-৮ বছর পার হইয়ে গেল এখন ও মামুন বিয়ে করেনি এখন তাকে
কিও বিয়ের কথা বললে তেলে বেগুনে ঝলে উঠে। আজ সে তনিমার কথা ভুলতে পারেনা। বিয়ের
কথা ভাবলে তনিমার সৃতি গুলো তাকে পিছনে টেনে নিয়ে যাই। আজও সে গভীর রাতে সে
বেদনাবিদুর ঘটনা গুলো মনে করে চোখ তেকে সবার অগুছরে অশ্রু ঝরাই......???
0 comments:
Post a Comment